করোনা মহামারী আসার আগে ২০১৯ সালে সবশেষ উন্মুক্ত হজে অংশ নেয় বিশ্বের মুসলমানরা। পরের দু’বছর সীমিত পরিসরে হয় হজ। যেখানে শুধু সৌদিতে অবস্থানরতরাই অংশ নেন।
এদিকে এ বছর ১০ লাখ মানুষকে হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। যাদের বয়স হতে হবে ৬৫ বছরের নিচে। সেইসঙ্গে নেওয়া থাকতে হবে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত করোনার টিকা। খবর সৌদি প্রেস এজেন্সির।
এখনো হজ চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের। তবে এ বছর অগ্রাধিকার পাবেন আগের নিবন্ধিতরা।
যদিও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বছর হজ করতে খরচ বাড়তে পারে। মিনায় তাবুতে থাকার নিয়ম পরিবর্তনসহ হজ যাত্রীদের খরচ অতীতের চেয়ে বাড়তে পারে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ। চীনা টিকা নিয়েও জটিলতা কেটে গেছে। এবার সৌদি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ফ্লাই নাস নামে আরেকটি এয়ারলাইন্সকে হজ যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আর বাংলাদেশ থেকে শুধু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরও পড়ুন: ১০ লাখ মানুষকে হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব
হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সভাপতি হজ যাত্রীদের দুর্ভোগের বড় কারণ হিসেবে দেখছেন বিমানের টিকিট প্রাপ্তি। হাব বলছে, দেশে হজ যাত্রায় বড় চ্যালেঞ্জ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের একচেটিয়া ব্যবসা। তাই এয়ারলাইন্স সংখ্যা বাড়ানোর দাবি হাবের।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ, হজ চুক্তি হওয়ার আগে দালাল বা মধ্যসত্ত্বভোগীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করার।
খুলনা গেজেট/ এস আই