চোট ও করোনাভাইরাসের ছোবল, সঙ্গে ব্যস্ত সূচির ক্লান্তি; সবকিছুর মিশেলে দেখা মিলল না ব্রাজিলের চেনা রূপ। তবে কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিয়েছে তারা। উরুগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শতভাগ সাফল্য ধরে রেখেছে তিতের দল।
মন্তেভিদিওতে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে ২-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। আর্থারের গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিশার্লিসন।
এই নিয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত রইলো ব্রাজিল; আট জয় ও তিন ড্র। দলটির বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ানরা সবশেষ হেরেছিল ২০০১ সালে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১-০ গোলে।
চোটের কারণে ব্রাজিল দলে ছিল না নেইমার, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও ফাবিনিয়ো। আর করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে কাসেমিরো। কোভিড-১৯ এর আঘাতে উরুগুয়েও হারায় তাদের সেরা তারকা লুইস সুয়ারেসকে। পুরো ম্যাচ তাদের অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে বেশ।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল উভয় পক্ষ; কিন্তু সে যাত্রায় মেলেনি জালের দেখা। তৃতীয় মিনিটে গাব্রিয়েল জেসুসের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ঠেকান উরুগুয়ের গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর দারউইন নুনেসের জোরালো শট ক্রসবারে লাগলে বেঁচে যায় ব্রাজিল।
মাঝে খানিকটা এলোমেলো ফুটবলের পর বিরতির আগের ১৫ মিনিটে ব্রাজিলের খেলা ছিল বেশ গোছালো। ৩৪তম মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়েও যায় তারা। জেসুসের পাস পেয়ে ইউভেন্তুস মিডফিল্ডার আর্থারের দূর থেকে নেওয়া শট ডিফেন্ডার জোসে হিমেনেসের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
৪৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিশার্লিসন। ছোট করে নেওয়া কর্নারের পর সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সে ক্রস বাড়ান রেনান লোদি। লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এভারটন ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে উরুগুয়ে। বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণও করে তারা; কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে যায়। উল্টো ৭৩তম মিনিটে বড় থাক্কা খায় দলটি। খানিক আগের এক ঘটনায় রিশার্লিসনকে পেছন থেকে ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্যে এদিনসন কাভানিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি।
এক জন কম নিয়ে বাকি সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর তেমন কোনো সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি উরুগুয়ে। এই অর্ধে নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ব্রাজিলও।
চার ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ব্রাজিল। আরেক ম্যাচে কলম্বিয়াকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া একুয়েডরের পয়েন্ট ৯।
খুলনা গেজেট/এএমআর