উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগকালীন অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী গ্রামের জি এম মাসুম বিল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে জি এম মাসুম বিল্লাহকে ‘সিপিপি শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি মাসুম বিল্লাহ’র হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন। সারাদেশে দুর্যোগকালীন অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে সহ সর্বোমোট ১৬ জনকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জি এম মাসুম বিল্লাহ ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুুতি কর্মসূচির আওতাধীন সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়ন সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বন্যা, জলোচ্ছাস ও করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন বির্পযয়ে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস ও মহামারী কোন কিছুতেই আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তার স্বীকৃতি স্বরূপ আমাকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে। আমি এ সম্মাননা পেয়ে ধন্য। এই সম্মাননা আমাকে জনসেবায় আরো উৎসাহ যোগাবে। অনুপ্রেরণা কাজ করবে আমাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য এবং উৎসাহিত করা মানুষদের কাছে কৃতজ্ঞ।
শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী গ্রামের বাসিন্দা এস এম শাহিন আলম বলেন, উপকূলে কোন দুর্যোগ আসলে মাসুম বিল্লাহ’র নাওয়া-খাওয়া থাকে না। এলাকায় সবাই তাঁকে মাসুম স্যার হিসেবে চিনলেও তিনি নিজেকে সেচ্ছাসেবক পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। করোনা কিংবা আম্পানে তিনি রাত-দিন এক করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন, এজন্য আমরা এলাকাবাসী আনন্দিত।
জি এম মাসুম বিল্লাহ পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি স্থানীয় পাতাখালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে শিক্ষকতায় নিয়োজিত আছেন। তিনি ২০১২ সাল থেকে সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।