উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ূ পরিবর্তনজনীত অভিঘাত মোকাবেলায় ৯ দফা সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক নেতারা। তারা বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ূ পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতির মূখে উপকূল। দুর্যোগ, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, তাপমাত্রা, খরা প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা মোকাবেলায় যৌথ পদক্ষেপও জরুরী।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) দুপুরে খুলনা সিটি করপোরেশন, ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরাম (সিজেএফ) ও অ্যাওসেডের যৌথ উদ্যোগে আলোচনায় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে খুলনার নগর ভবনের জেআইজেড মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভায় দুটি বিশেষজ্ঞ মতামত তুলে ধরেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মুজিবুর রহমান ও খুলনা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. তুষার কান্তি রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয় প্রোগ্রাম অফিসার ও সিজেএফের জেলা সদস্য সচিব আসিফ আহমেদ।
সভায় অভিমত ব্যক্ত করেন ক্লাইমেট জাস্টিট ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সদস্য সচিব ড. এস এম ফেরদৌস রহমান, পানি অধিকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ববি, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী রাযহান ফরিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সুর্কণ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা বেগম, অ্যাওসেডের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান মোহন, কোস্টাল ভয়েস অফ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক কৌশিক দে, সাংবাদিক মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা , খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, কেয়ার বাংলাদেশের লুৎফা পারভীন, হেলভেটাস’র রত্না গমেজ ও মিলটন কুমার সাহা প্রমুখ।
অভিঘাত মোকাবেলায় সুপারিশগুলো হচ্ছে টেকসই নগর পরিকল্পনা, ম্যানগ্রোভ পুনবনায়নসহ উপকূলীয় সুরক্ষা জোরদার করা, জলবায়ূ সহিষ্ণু কৃষি উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা, খরা সহনশীল কৃষি প্রযুক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, জলধার সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ ও কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস।
‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা- অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খাল ও জলাধার সংরক্ষণ, অবৈধ ভূমি দখল রোধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনের গুরুত্ব এবং একে রক্ষার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া, সর্বোপরি জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগের অপরিহার্যতার গুরুত্ব রয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি