দীর্ঘ সাত মাসেরও অধিক সময় ধরে বন্ধ থাকার পর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। তাই সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা পর্যটকদের ভিড় জমে উঠেছে মোংলা পিকনিক কর্ণারে। খুলে দেওয়ার পর থেকে আজ মঙ্গলবার একটু বেশিই ভিড় জমেছে সুন্দরবনের আকর্ষণীয় স্পট করমজল।
নড়াইল থেকে আসা এক দর্শনার্থী উজ্জ্বল বলেন, অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাবো সুন্দরবনের করমজলে। কিন্তু করোনার কারণে আসি আসি করে আসা হয়নি। যখন শুনলাম পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে সুন্দরবন তখনি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে আসলাম।
সুন্দরবনের খুব কাছে আকর্ষণ স্পট করমজল। করোনার বিধি নিষেধ মানতে সকল ধরনের সহায়তায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের বন প্রহরীরা। করোনাকালে বেশ লোকসান হয়েছে বন বিভাগ ও ট্যুরিস্ট ব্যবসায়ীদের।
এই বিষয়ে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আজাদ কবির বলেন, বন্ধের সাত মাসে কম হলেও অন্তত প্রায় দশ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হতো এখান থেকে। অন্যান্য কেন্দ্র থেকেও বেশ কিছু রাজস্ব আসতো করোনার কারণে অনেক লোকসানের সম্মুখীন হতে হলো বনবিভাগের।
পর্যটকরা যাচ্ছেন হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কচিখাল, কটকা, দুবলাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। গত ১৯ মার্চ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় সুন্দরবনের প্রবেশাধিকার। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ নানা শর্তে খুলে দেওয়া হয়েছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন।
খুলনা গেজেট/এনএম