জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। উদ্বোধনের ২০ দিনের মধ্যে ঘরের বিভিন্নস্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্ননের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উদ্বোধনের ২০ দিনেই এ ফাটল দেখা দিয়েছে।
রোববার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে পিঞ্জিরা খাতুনের ঘরের এক পাশের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেটে গেছে। অন্য আর চারটি ঘরের মধ্যে দুইটি ঘরের বারান্দার মেঝে ফেটে গেছে। ঘরগুলোর দুই পাশে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। এজন্য ঘরের সামনে দিয়ে একটি ইটের সলিং তৈরি করা হচ্ছে। উদ্বোধনের ২০ দিনে ৫টি ঘরের মধ্যে মাত্র একজন উঠেছেন। তবে তিনিও রাতে থাকেন না। পিঞ্জিরা খাতুনের ঘরে একটি মাত্র খাট ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। অন্য আর চারটি ঘরে তালা মারা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ৫টি ঘরের জন্য একটি মাত্র টিউবওয়েল রয়েছে। সেটিও পানির মধ্যে পড়ে আছে। ৫টি ঘর পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পিঞ্জিরা খাতুন, জেসমিনা খাতুন, শাহ আলম মুন্সি, রবিউল মুন্সি ও নুর আলী।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২য় পর্যায়ে কালীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর সবগুলোই কোলা ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামে। গত ২০ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘরগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এইদিনেই ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ ছিল এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এছাড়াও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা এই প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। তিনি বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া পিঞ্জিরা খাতুন বলেন, ঘরের দুই-এক জায়গায় ফেটে গেছে। ৩/৪ দিন আগে বিদ্যুৎ লাইন দিয়েছে।
কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন জানান, গত ১৯ জুন তিনি ওই ঘরগুলো দেখতে গিয়েছিলেন। তিনটি পরিবার থাকে। আর দুইটি পরিবার মাঝে মাঝে থাকে। আপনার মাধ্যমে ফেটে যাওয়ার তথ্য পেলাম। তিনি ঘরগুলো দেখতে যাবেন বলেও জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ-হেল-আল-মাসুম জানান, তিনি বিষয়টি নিজে গিয়ে দেখবেন। ফেটে যাওয়া ঘর মেরামত করা হবে। এই ঘরগুলো তৈরি করতে তিনিই দেখভাল করেছেন আর ইউএনও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই