খুলনা, বাংলাদেশ | ১লা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
  এবারের ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হবে সকাল ৯টায়

উত্তাল ঢাকা যেন এক টুকরো ফিলিস্তিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল ৩টা। ঢাকা যেন হয়ে উঠেছিলো ফিলিস্তিনের প্রতিচ্ছবি। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন নারী-শিশু-বয়স্কসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শনিবার বিকেল ৩টায় কর্মসূচির সময় নির্ধারণ করা থাকলেও ভোর থেকেই জড়ো হতে থাকেন সাধারণ মানুষ। দুপুরের আগেই পুরো উদ্যান পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

সোহরাওয়ার্দীতে জায়গা না পেয়ে রমনা পার্কসহ আশে-পাশের এলাকায় অবস্থান নেন অনেকে। ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়ান দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এসময় শাহবাগ ও আশপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্লোগানে আর মিছিলে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা জড়ো হচ্ছেন সেখানে।

‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে পুরো সোহরাওয়ার্দী‌ ময়দান প্রকম্পিত হচ্ছে। চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা।

সমাবেশে অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের কেউ কেউ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি বা মুখোশ বহন করে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এ গণহত্যার সহযোগীদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে। অনেকেই রক্তাক্ত (প্রতীকী) পোশাক পরে অংশগ্রহণ করেন, যা গাজার পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান করে তোলে।

এই গণজমায়েতটি আজ ঢাকায় ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বৃহৎ জনসমাবেশগুলোর একটি হিসেবে পরিণত হয়, যেখানে মানুষ তাদের হৃদয়ের গভীরতা থেকে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!