রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। আর এটিকে তিনি ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র পাঠানোর মতো পদক্ষেপের একই প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২৪ বছর পর পরমাণু অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ায় সফর এবং দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের একদিন পর বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। আর সেখানেই তিনি দেশটিতে অস্ত্র পাঠানোর কথা বলেন।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও উন্নয়নের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো উত্তর কোরিয়াকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে এবং মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককেও পশ্চিমারা উদ্বেগের সঙ্গে দেখে থাকে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন এই মাসের শুরুতে হুমকি দিয়েছিলেন, রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কারণ নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এমন অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করছে পশ্চিমা দেশগুলো এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে সেগুলো দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতিও দিচ্ছে।
আর এ নিয়ে নিজের সর্বশেষ মন্তব্যে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, উত্তর কোরিয়াও রাশিয়ান অস্ত্র হাতে পেতে পারে। আমি বলেছিলাম, আমরা পিয়ংইয়ংসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার সংরক্ষণ করি। (উত্তর কোরিয়ার) সাথে আমাদের চুক্তিগুলোকে বিবেচনায় রেখে আমি এই দেশটিকেও সেই সম্ভাবনা থেকে বাদ দিই না।
গত বুধবার পুতিন এবং কিমের স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিটিতে উভয় দেশের যেকোনও একটির বিরুদ্ধে সশস্ত্র আগ্রাসনের ক্ষেত্রে একে অপরকে তাৎক্ষণিক সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
পুতিন বলেন, মস্কো আশা করে উত্তর কোরিয়ার সাথে দেশটির এই সহযোগিতা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে, তবে ইউক্রেনের যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের ব্যবহার করার দরকার নেই।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন বলেছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আর্টিলারি শেল এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে, যদিও মস্কো এবং পিয়ংইয়ং সেই অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম