এই তো গত কয়েক দিন আগের কথা। পবিত্র রমজানের হেলাল নিয়ে এলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম। দেখতে দেখতে দু দশক পেরিয়ে শেষ দশকের প্রান্ত সীমায় উপস্থিত মাহে রমজান। এখনতো হিসাব নিকাশ মিলানোর পালা। রহমত চলে গেছে ঠিকই কিন্তু আমার রহমতের প্রাপ্তি কতখানি। মাগফিরাতের দশক আমার গুনাহ গুলো মুছে দিতে পেরেছে কি! নাজাতের দশক শেষ প্রায়। জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরওয়ানা মিলবে তো..!
কিন্তু রমজানের এই শেষ সময়ে যেন সেই অনুভূতি আমাদের থেকে বিলিন হওয়ার পথে। ঈদের আমেজে ভুলে যাই রমজানের মহত্ব কথা। শেষ সময়ের ক্ষমার প্রাপ্তির ঘোষণা। রমজানের শেষ দিনেই যে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মহা উপহার। কাজ শেষ হওয়ার পর যেমন মজদুরকে তার বিনিময় দেয়া হয়। রমজানের শেষ রজনীতে তদ্রুপ বিনিময় দেওয়া হয় রোজাদারের।
সুতরাং সব কাজের শেষ মুহূর্ত যেমন গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরই নির্ভর করে পুরস্কার বা তিরস্কার। তদ্রুপ রমজানের শেষ মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করছে। ঈদের কেনাকাটা আর মার্কেটে ঘোরাঘুরিতে এই মুল্যবান সময় হেলায় হারানো হবে চরম বোকামি। রমজানের সংযমের শিক্ষা অনুশীলনের মোক্ষম সময় এখন। নিজেকে ঈদের বাজারে ঘোরাঘুরি সহ সকল অহেতুক কাজকর্ম থেকে সংযত রাখা। মহান আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।
(লেখক : শিক্ষক, ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া মাদরাসা, ফুলবাড়িগেট, খুলনা)
খুলনা গেজেট/ এস আই