দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর পাওনা টাকা হাতে পেতে শুরু করেছে খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি জুট স্পিনার্সের বি শিফটের ৯’শ শ্রমিক-কর্মচারী। ঈদের আগে পাওনা টাকা পেতে শুরু করায় দারুন উৎফুল্ল এ সকল শ্রমিক-কর্মচারীরা। মিল কর্তৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী মিলের ৯ ‘শ শ্রমিক কর্মচারীদের সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকাল থেকে তৃতীয় কিস্তির ১ কোটি ২ লাখ বকেয়া টাকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে যা চলবে ৯ এপ্রিল দিনভর।
জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী মিল কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ জুন ৮৩১ জন শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা দ্বিতীয় কিস্তির এক কোটি দশ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী তৃতীয় কিস্তির পাওনা টাকার জন্য মিলের শ্রমিক কর্মচারীরা দীর্ঘ ৯ মাস ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। চুক্তি অনুযায়ী মিল কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিল বিকাল থেকে বি শিফটের ৯ ‘শ শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে পাওনা টাকা পরিশোধের কার্যক্রম শুরু করায় এ সকল শ্রমিক কর্মচারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ জুন খুলনা শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের দপ্তরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের এক পর্যায়ে মিলের প্রধান কার্যালয়ের মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক মুরাদের সাথে যোগাযোগ করেন। বৈঠকে মালিক পক্ষের সাথে ফলপ্রসু আলোচনায় শ্রম আদালতের ১৬৮/১৮ নং মকদ্দমা প্রত্যাহারের আশ্বাস প্রদান করেন শ্রম পরিচালক । পরবর্তীতে আইনি জটিলতা নিরসনের পর বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালিক কর্তৃপক্ষ চুক্তির দ্বিতীয় কিস্তির পাওনা টাকা গত বছরের ২৬ জুন পরিশোধ করে।
মিলের উর্ধতন নির্বাহী কর্মকর্তা (প্রশাসন) মোঃ হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ৮ এপ্রিল বিকালে মিলের বি শিফটের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মাঝে ৩য় কিস্তির পাওনা পরিশোধের কার্যক্রম শুরু করা হয়। মিলের মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক মুরাদ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন ভূইয়ার আন্তরিকতায় মিলের ৮৩১ জন শ্রমিক, ২৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ৫৭ জন চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়া শ্রমিক ও মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকদের পরিবারের মাঝে তৃতীয় কিস্তির ১ কোটি ২ লাখ টাকা পরিশোধের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পাওনা পরিশোধের এ কার্যক্রম ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে ।
এর আগে বৈঠকে আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুক্তির আওতায় থাকা প্রায় ৮৩১জন শ্রমিক কর্মচারীর মাঝে দ্বিতীয় কিস্তির ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি