পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিন বাড়িতে সেমাই না আনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯০ সালে অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ছিলেন রফিকুল ইসলাম। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৩৪টি বছর। ২০২৪ সালে আবার এসেছে ঈদ-উল-ফিতর। অভিমান ভেঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈশ্বরকাটি গ্রামের মতলেব সরদ্দারে বড় ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার ঈদে সেমাই না আনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯০ সালে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রফিকুল ইসলাম। সেই থেকে কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার চুলুরিয়া গ্রামে বসবাস করতেন তিনি। সেখানে বিয়ে করে সংসার পাতেন, রয়েছে ১ ছেলে ও দুই মেয়ে।
রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মহিদুল সরদ্দার বলেন, ১৯৯০ সালে ঈদের দিন আব্বা বাড়িতে সেমাই না আনার কারণে আমার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম আম্মার সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। চলে যাওয়া পর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমাদের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। তার পর থেকে বড় ভাইকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পায়নি। হঠাৎ করে সোমবার রাত ১০টার দিকে আমাদের গ্রামের মসজিদে আমার বড় ভায়ের ছেলে আব্দুর রশিদ সরদার এসে আমার এক ভাইপোর কাছে আমাদের বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করে। তখন সে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার কাছ থেকে সবকিছু শুনে আমার অন্যান্য ভাইদের সাথে কথা বলে চুরুরিয়া গ্রামে গিয়ে আমার ভাইকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এখন আমরা সবাই অনেক খুশি।
রফিকুল ইসলামের মা শুকজান বিবি জানান, আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলামকে দীর্ঘ ৩২ বছর পর আজা দেখতে পেলাম। আমার বুকের ধন ফিরে এসেছে এতে আমরা সবাই খুব খুশি।
খুলনা গেজেট/এএজে