ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি নাগরিকের অংশীদারত্বে থাকা একটি পণ্যবাহী জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। হুতিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে তারা এই জাহাজ আটক করেছে। আর ইসরায়েল বলেছে, এটি ইরানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের অংশ।
রোববার সকালের দিকে ইয়েমেনের নিকটবর্তী দক্ষিণ লোহিত সাগর থেকে দ্য গ্যালাক্সি লিডার নামের ওই জাহাজ আটকের ঘটনা ঘটে। জাহাজটি যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন। এটি পরিচালনা করছে জাপান। এর মালিকানায় ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীর অংশীদারত্ব রয়েছে। তুরস্ক থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি ভারতে যাওয়ার কথা ছিল।
হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁদের যোদ্ধারা ওই জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এতে থাকা নাবিকদের যাবতীয় নিরাপত্তা তাঁরা দিচ্ছেন।
ইয়াহিয়া বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে আমাদের ভাইদের ওপর চলা আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাব।’
ইসরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজগুলোতে অন্যান্য দেশের নাবিকদের কাজ না করার আহ্বানও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় ও দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজের মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি নাবিকদের মধ্যেও কোনো ইসরায়েলি নেই। জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিক রয়েছেন, যাঁরা ইউক্রেন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন ও বুলগেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
ইসরায়েলের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হুতিদের দ্বারা জাহাজ ছিনতাইয়ের পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইরান বিশ্বের মুক্ত নাগরিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এই ঘটনার সঙ্গে তেহরান কোনোভাবে জড়িত নয়। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ঢালাওভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জাহাজ আটকের বিষয়ে অবগত। তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।