ইসরায়েলের ওপর যেকোন মুহুর্তে আঘাত হানতে পারে ইরান। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ইরানের নেতারা। তবে ইরান যেন ইসরায়েলে হামলা না করে এজন্য বারবার সতর্ক করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব দেশগুলোর মাধ্যমে ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের তিন কর্মকর্তা বিষয়টি এক্সিওসকে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইরান মনে করে দামেস্কের কনস্যুলেটে যে হামলা হয়েছে সেটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ফলে এসব হামলার সঙ্গে আর যুক্ত না হতে তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, “ইরানের হুঁশিয়ারি বার্তাটি ছিল এরকম, যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আমরা তাদের ওপর হামলা চালাব। তাই আমাদের ব্যাপারে কিছু বলবে না। আমরাও বলব না।”
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে জানিয়েছন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইসরায়েলের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে ইরান। আর এ হামলায় ব্যবহার করা হতে পারে ১০০টি ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র।
এই কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইরান যদি ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় এবং ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়— তাহলে তাদের এ ব্যাপারে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বার্তা দিয়েছে, তাদের কথা ছাড়া ইরানের ওপর কোনো হামলা যেন না চালানো নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ভয় এই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে যেতে পারেন মার্কিন সেনারা।
খুলনা গেজেট/ এইচ