জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গাজা যুদ্ধে সংঘটিত সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধেরও দাবি জানানো হয়েছে। প্রস্তাবটির মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের এই সংস্থাটি প্রায় ছয় মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের বিষয়ে একটি পরিষ্কার অবস্থান নিলো, যে সংঘাতে এরই মধ্যে ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। খবর-আলজাজিরা
শুক্রবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে এই প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। প্রস্তাবে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নতুন করে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এছাড়া ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার পর অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ যেতে দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে প্রস্তাবে। প্রস্তাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের দপ্তরে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে পাকিস্তান। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্য দেশের মধ্যে প্রস্তাবেব বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ। ভারত, ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এর তীব্র নিন্দা জানায়।
সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মোহাম্মদ খারাইশি প্রস্তাবের বিষয়ে বলেন, গাজায় গণহত্যা এমন একটি ঘটনা যা টেলিভিশনের পর্দায় পুরো পৃথিবীর মানুষ দেখছে।
খুলনা গেজেট/কেডি