ইরাকের পার্লামেন্টে হামলা চালিয়েছে শত শত বিক্ষোভকারী। বুধবার (২৭ জুলাই) দেশটির রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত ওই পার্লামেন্ট ভবনে হামলার এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের অধিকাংশই ইরাকি শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারী।
প্রধানমন্ত্রীর পদে ইরান-সমর্থিত দলগুলোর মনোনয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় বাগদাদে পার্লামেন্ট ভবনে হামলার এই ঘটনা ঘটে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালানো শত শত বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ইরাকি শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারী। পার্লামেন্ট ভবনটি বাগদাদের সুরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত গ্রিন জোনে অবস্থিত।
আলজাজিরা বলছে, বুধবার বিক্ষোভকারীরা যখন সরকারি ভবন ও কূটনৈতিক মিশনের আবাসস্থল রাজধানীর উচ্চ-নিরাপত্তা গ্রিন জোনে প্রবেশ করে তখন পার্লামেন্টে কোনো আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন না। এসময় শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী ভবনের ভেতরে ছিল এবং তবে তারা বিক্ষোভকারীদের তুলনামূলক স্বাচ্ছন্দ্যেই সেখানে প্রবেশ করতে দেয়।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে ইরান-সমর্থিত দলগুলোর মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। তিনি ইরাকের এক সাবেক মন্ত্রী এবং সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর। তবে বিক্ষোভকারীরা মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির প্রার্থীতার বিরোধিতা করছেন।
এদিকে পার্লামেন্ট ভবনে হামলার পর বিক্ষোভকারীদের গ্রিন জোন থেকে ‘অবিলম্বে সরে’ যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি। এক বিবৃতিতে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি মিশনগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার যেকোনো ক্ষতি রোধ করবে’ নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। তাতে ৩২৯ আসনের মধ্যে মুকতাদা আল সদরের ব্লক ৭৩ আসনে বিজয়ী হয়। কিন্তু ভোটের পর থেকে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা থমকে আছে এবং আল-সদর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছেন।
বুধবার পার্লামেন্টে হামলার সময় বিক্ষোভকারীরা শিয়া এই নেতার প্রতিকৃতি বহন করছিল বলেও জানিয়েছে আলজাজিরা।