পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আগামী ৩ এপ্রিল (রবিবার) ভোটাভুটি হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন, সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।
সোমবার পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ। তার পরেই আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত সভা মুলতুবি ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক হবে বলে জানান তিনি।
রশিদ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পরে সাত দিনের মধ্যে ভোটাভুটি বাধ্যতামূলক। সেই সময়সীমা মেনেই আগামী রবিবার ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়েছে।
৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদু সংখ্যা’ ১৭২। ইমরানের নিজের দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সদস্য ১৫৫ জন। কিন্তু পিটিআই-এর বেশ কয়েক জন পার্লামেন্ট সদস্য ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে ইমরানের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বুধবার ইমরান সরকারের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম-পি)-এর ৭ এবং বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টি (বিএপি)-র ৫ সদস্য রয়েছেন। রবিবার সমর্থন প্রত্যাহারকারী জামহুরি ওয়াতন পার্টির রয়েছেন এক সদস্য।
এই পরিস্থিতিতে গদি বাঁচাতে মরিয়া ইমরান সোমবার তাঁর দলের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়েছেন। ওই পদটি আর এক ‘বিক্ষুব্ধ সহযোগী’ পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ)-কে দেওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে (পিএমএল-কিউ)-এর সদস্য সংখ্যা ৫।