খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

ইবির গাড়ি চালককে মারধর, বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিজস্ব গাড়ির চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া রুটে চলাচলকারী ক্যাম্পাসের ভাড়া গাড়ির চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরিবহন প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী মোমিন শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসে গাড়ি চালক পদে কর্মরত রয়েছেন। শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম, হেলপার লালন, জুয়েল এবং রবিউলসহ প্রায় ৩০ জন।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালের ট্রিপে ক্যাম্পাস হতে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বৃত্তিপাড়া নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা গাড়ি বাহিরের যাত্রী উঠানোর জন্য গাড়ি রাস্তার ওপর থামিয়ে জ্যাম তৈরী করে। এসময় ভুক্তভোগী মোমিন গাড়ি থেকে নেমে সামনে গিয়ে সুয়াইল পরিবহনের চালককে দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। এতে হঠাৎ করেই চালক ও হেলপার ভুক্তভোগীর উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় অন্য এক চালক সালাহউদ্দিন ভুক্তভোগীকে বাঁচাতে এলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে এবং ভুক্তভোগীর চালিত গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে।

এসময় ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা ১টি স্মার্ট ফোন ভেঙে ফেলে অভিযুক্তরা। এসময় দুই জনের শার্ট ছিড়ে ফেলাসহ অপর ভুক্তভোগী সালাহউদ্দিনের পকেটে থাকা দশ হাজার সাতশত টাকা হামলকারীরা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া অভিযুক্তরা রড, লাঠি-সোটাসহ আরও লোকজন ডেকে এনে তাদের ব্যাপক মারধর করে। বর্তমানে তারা খুব অসুস্থ রয়েছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে। এসময় তিনি অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নাম-ই নি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে ভ্যান-সিএনজি পরিবহনের জন্য জ্যাম থাকে। তো ওইসময় জ্যাম সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের ড্রাইভার এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি ও মারতে উদ্যত হন। এসময় আমি বাস সামনে এগিয়ে সাইট দিই তাদের। তো হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ওইসময় মেলা লোকের সমাগম হয় এবং মারামারির সৃষ্টি হয়। এতে আমার বাসের হেলপার প্রচন্ড মারধরের শিকার হয়।’

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জানতে পেরেছি তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ যেহেতু পেয়েছি আমরা পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘এটা আমরা সকালের দিকে জেনেছি। পরে ভুক্তভোগী পরিবহন অফিসে অভিযোগ করলে আমাদের কাছে সেটার একটি অনুলিপি আসে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেটা রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আমার কাছে একটি কপি এসেছিলো। আমি ফাইলটা উপ-উপাচার্য বরাবর পাঠিয়েছি। তিনি ক্লাসে আছেন, না আসা পর্যন্ত কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জানানো যাচ্ছে না।’

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!