ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে রাতভর র্যাগিংয়ের দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুই শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির ১৩তম সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বহিষ্কৃতদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্য দুইজনকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাগর প্রামাণিক ও উজ্জ্বল এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মুদাস্সির খান কাফি। এ ছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাসিম আহমেদ মাসুম ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিসনো আল আসনাওয়ীকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে (গণরুম) এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিয়ের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। র্যাগিংয়ের একপর্যায়ে অভিযুক্ত তিনজন ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক উলঙ্গ করেন। এ ছাড়া তাকে উলঙ্গ অবস্থায় হাত উঁচিয়ে টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়। রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলে এ অমানবিক নির্যাতন। পরে নাকে খত ও তার বিছানা সামগ্রী কক্ষের বাইরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগও তোলেন ওই ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে র্যাগিংয়ের নির্যাতনের সত্যতা পায় উভয় কমিটি।
খুৃুলনা গেজেট/এএজে