শীতের আমেজে মায়ের হাতের গরম গরম নকশী পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে। দীর্ঘদিন মায়ের স্নেহ থেকে দূরে থাকা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা সেই স্বাদ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে পিঠা পুলির আমেজ ছড়িয়ে দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক সংগঠন ‘ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন’ (ক্যাপ) আয়োজন করে পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ক্যাম্পাসের জিমনেসিয়ামের সামনে এই উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। এসময় প্রায় ১৫ রকমের পিঠাপুলি প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন খেলা ধু্লার আয়োজন করা হয়।
উৎসবে হরেক রকম পিঠার মধ্যে ছিলো নয়নতারা পিঠা, শিমফুল পিঠা, পুলি পিঠা, ভালোবাসা পিঠা, চরকি পিঠা, বাহারী পিঠা, চিপস, পাটিসাপটা, পাকোয়ান পিঠা, গাজরের বরফি, সুজির বরফি, ক্যাপ স্পেশাল দুধ চিতই, জামাই পিঠা ও পাকোড়া ফুলপিঠা। পরে সদস্যদের অংশগ্রহণে বালিশ বদল, হাড়িভাঙা সহ বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্যাপ কুষ্টিয়া জোনের সভাপতি মহব্বত ফয়সালের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপের যুব উপদেষ্টা আবদুল্লাহ আল মাহদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজমীন সুলতানা মিমি ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা মেঘ। এছাড়াও সংগঠনটির প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি মহব্বত ফয়সাল বলেন, ক্যাপ মায়েদের ক্যান্সর সচেতনতায় নিয়মিত উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং ও স্ক্রেনিং টেস্ট সহ বিভিন্ন সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। ক্যাপের কাজকে আরো বেগবান ও সুশৃঙ্খল করতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আশাকরি এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্য পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি ক্যাপ একটি সুন্দর ক্যান্সারমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, নারীদের ক্যানসার সচেতনতা সৃষ্টিকারী সংগঠন ‘ক্যাপ’ ২০১৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে যাত্রা শুরু করে৷ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবীদের প্রচেষ্টায় নারীদের স্তন ও জরায়ু-মুখ ক্যানসার সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।