ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জামিরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) তিন্নির ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানান কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার। প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
ডা. তাপস বলেন, তিন্নির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া যায়নি। এটি একটি ‘ঝুলন্ত অবস্থায় আত্মহত্যা’।
তবে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছেন না তিন্নির স্বজনরা। স্বজনদের অভিযোগ, সাবেক দুলাভাই জামিরুল ও তাঁর সহযোগীরা জোর করে বাড়িতে ঢুকে তিন্নির শোবার ঘরে ঢুকে তাঁকে নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে। এর পরই আত্মহত্যা করেন তিন্নি।
তিন্নির বড় বোন মুন্নি তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, ‘আমি এই প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছি না। ভাবছি, টাকা-পয়সা দিয়ে এটা পরিবর্তন করা হলো কি না। কারণ তিন্নির রুমে আমি তাকে (জামিরুল) চাক্ষুষ দেখেছি। তাই আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কিছু একটা না ঘটলে তিন্নি আত্মহত্যা করবে।’
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় নিজেদের দোতলা বাড়ির নিজ কক্ষ থেকে তিন্নিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শেখপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে তিন্নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
ওই ঘটনায় গত শুক্রবার তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর এপর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত জামিরুলসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম