খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসবির এক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫, গুরুত্বর আহত আরও ১০

ইফতারের খাবারে সচেতন থাকুন

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

বিরিয়ানি, তেহারি, হালিম কিংবা কাবাব আমরা প্রায় সময় খেয়ে থাকি। কিন্তু গরমের সময় এ সব খাওয়া মানেই শরীরের ক্ষতি করা। তার উপর শুরু হয়েছে রোজা। তাই সংযমের মাসে ইফতারিটা অবশ্যই হতে হবে পরিমিত ও স্বাস্থসম্মত।

গরমকালে রোজা রাখা বেশ কষ্টের। গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়ে শরীর খারাপ হয়ে যায় খুব অল্পতেই। গরমকালে সারা দিন শরীর থেকে প্রচুর পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। রোজার দিনে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করা যায় না। তাই ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে কিন্তু সেহরি ও ইফতারে যথোপযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরকে সুস্থ রাখা যায়।

পানির চাহিদা পূরণ করতে যে কোনো রসাল খাবার যেমন- ফলের রস, শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে। তবে কোনোভাবেই কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া যাবে না। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাথায় রাখতে হবে একবারে বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে চাইলে অবশ্যই তেল সমৃদ্ধ ও ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার ইফতারের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এছারাও অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তবে কেউ চাইলে হালকা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারেন। কিন্তু মিষ্টি খাবারের পরিমাণ যেনো খুব বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ইফতারে খেজুর একটি আদর্শ খাবার। মিষ্টি ফল হওয়ায় দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ফলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়াও এ ফল ডাইজেস্টিভ এনজাইম বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে যা হজমে সাহায্য করে। তবে শুধু খেজুর নয়, অন্যান্য যে কোনো ধরনের ফল ইফতারে রাখা উচিত। যেনো শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয়।

ইফতার ও সেহেরিতে শরীরের সুস্থতার জন্য আঁশজাতীয় ফল খাওয়া ভালো। এইসময় অতিরিক্ত চা বা কফি এবং কোমল পানীয় পান করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চা ও কফি শরীরের পানি শূন্যতার সৃষ্টি করে। অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি করে।

পেট ঠান্ডা থাকে এমন খাবার ইফতারে খাওয়া ভালো। যেমন দুধ-চিড়া বা দই-চিড়া অথবা মুড়ি। দই পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!