ইন্দোনেশিয়ার একটি কারাগারে ভয়াবহ আগুনে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। কারাগারটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যক বন্দি অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে দেশটির বানতেন প্রদেশের একটি কারাগারে এই ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কারাগারের যে ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৯ জন বন্দি।
ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের কারাগার বিষয়ক দফতরের মুখপাত্র রিকা আপরিয়ান্তি জানান, বুধবার গভীর রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে বানতেন প্রদেশের তাংগেরাং কারাগারের সি ব্লকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
কর্তৃপক্ষ এখনও সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে আগুন লাগার ঠিক কত সময় পর সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা, তা পরিষ্কার করেননি তিনি।
রিকা জানান, ‘আগুন লাগার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, কারাগারের সি ব্লকে মাদক-অপরাধ সম্পর্কিত মামলার আসামিদের রাখা হয়েছিল এবং সেখানে মোট ১২২ জনের অবস্থানের মতো স্থান ছিল।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে ঠিক কতজন বন্দি অবস্থান করছিলেন, সেটি জানাননি তিনি। রিকা আপরিয়ান্তি অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, কারাগারের ওই ব্লকে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দিকে রাখা হয়েছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী জাকার্তার কাছে অবস্থিত তাংগেরাং শহরটি ইন্দোনেশিয়ার শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশটির সরকারের চলতি সেপ্টেম্বর মাসের একটি তথ্যের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, তাংগেরাং শহরের কারাগারে ৬০০ বন্দিকে রাখার জায়গা থাকলেও সেখানে ২ হাজারেরও বেশি বন্দিকে রাখা হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস স্থানীয় মেট্রো টিভিকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
অগ্নিকাণ্ডে ৭৩ জন হালকা আহত হয়েছে বলেও পুলিশের বরাত দিয়ে ওই টিভিতে জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম