ইটালির দক্ষিণ উপকূলের কাছে উত্তাল সাগরে একটি নৌকা ডুবে গেলে কমপক্ষে ৫৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। নৌকাটির অনেক যাত্রী অবশ্য প্রাণে বেঁচে গেছে। ইটালির উপকূল রক্ষী বাহিনী জানিয়েছে প্রায় ৮০ জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
জানা গেছে, ধারণা ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ভর্তি নৌকাটি ইটালির ক্যালাব্রিয়া উপকূলের কাছে ডুবে যায়। প্রায় ১৫০ অভিবাসী নিয়ে ক্রোটন শহরের কাছে তীরে ভেড়ার চেষ্টার সময় পাথরে গুতো খেয়ে নৌকাটি দুভাগ হয়ে যায়। কাছের একটি পর্যটন শহরের বিচ থেকে অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আফ্রিকা থেকে প্রতি বছর অনেক লোক অবৈধভাবে সাগর পথে ইটালিতে ঢোকে। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানান, নৌকাটি তিন-চারদিন আগে তুরস্কের উপকূলীয় শহর ইজমির থেকে রওয়ানা হয়। স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নৌকার যাত্রীরা সোমালিয়া,ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিক।
সংবাদ সংস্থাটি জানায়, উঁচু ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি তীরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং আ্যাপে নিজেদের পাতায় ইটালির দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ‘বেশ কয়েকজন অভিবাসী মারা গেছেন এবং প্রায় ৪০ জন প্রাণে বেঁচে গেছেন।’
ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, যিনি অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর নির্বাচিত হয়েছেন, এই দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি এই ট্রাজেডির জন্য মানব পাচারকারীদের দায়ী করেছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ যাত্রার আশ্বাসে টিকেট বেঁচে তারা নারী পুরুষ শিশুদের জীবনের সাথে খেলা করছে। এমন যাত্রা যেন শুরু না হতে পারে এবং এমন ট্রাজেডি যেন না ঘটে তার জন্য সরকার চেষ্টা করছে এবং করে যাবে।’
মেলোনির দক্ষিণপন্থী সরকার অবৈধ অভিবাসী ভর্তি নৌকা ঠেকাতে কড়া অঙ্গীকার করেছে এবং গত কয়েকদিনে সাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারের বিষয়ে কড়া কিছু আইন এনেছে। দুই হাজার চৌদ্দ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে এক হিসাবে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস