ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কালাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। এ সময় তিনি ইউরোপের কয়েকটি দেশের ইরানবিরোধী ‘বিধ্বংসী দৃষ্টিভঙ্গির’ বিষয়ে ইইউর এই পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানকে সতর্ক করে দেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন আব্বাস আরাঘচি। টেলিগ্রাম পোস্টে ইসরায়েল ও ইরানের সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইউরোপের কিছু দেশের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে ইউরোপের কিছু দেশের ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রপন্থী অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোর এই অবস্থানের সমালোচনা করেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে, মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্বাস আরাঘচি বলেন, ইরানের পারমাণবিক শক্তি ও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় সংকল্প কেবল সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ধ্বংস করা যাবে না।
তেহরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, বোমা হামলার মাধ্যমে কেউ (শান্তিপূর্ণ ইউরেনিয়াম) সমৃদ্ধকরণের প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানকে ধ্বংস করতে পারে না।
গত ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ১২ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাসহ অন্যান্য অনেক সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো নিশানা করে ইসরায়েল।
সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ইসরায়েলকে সহায়তা করে আসা যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের শেষের দিকে ইরানের মধ্য ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বি-২ বোমারু বিমান ব্যবহার হামলা চালায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়নের সঙ্গে ট্রাম্পের দাবির মিল নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণকি কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস নয়, কেবল নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে গেছে বলে জানানো হয়।
সূত্র: রয়টার্স, প্রেস টিভি
খুলনা গেজেট/এএজে