বরিশালের গৌরনদী ও ভোলার চরফ্যাশনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী সহিংসতায় ২ জনের নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে শিশুসহ আরও ১৫ জন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে মেম্বার প্রার্থীদের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ভোট নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বরিশালের গৌরনদীতে সোমবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন ভোট দিতে যায় তখন স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে মৌজা আলী মৃধা (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। বিষয়টি ভোটগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তখন স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি কেন্দ্রের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে মৌজা আলী মৃধা আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ভোলার চরফ্যাশনে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মনির (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে শিশুসহ আরও ১৫ জন। সোমবার (২১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের চর ফকিরা কোয়াইড প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির ওই এলাকার বশির উল্লাহর ছেলে। আহতরা হলেন- তাসলিমা (২২), রিতা (৪) ফিরোজ, মন্জু, সোহাগ, শাহাবুদ্দিন, বেল্লালসহ ১৫ জন।
স্থানীয়রা জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে মেম্বার প্রার্থী ইয়াসিন ও ইউনুস সিকদার গ্রুপের মধ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে মনির (২৩) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি।
খুলনা গেজেট/ এস আই