যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকে আছেন দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মারিউপোলের একটি বাংকারে আটকে আছেন। আটকে পড়া দুজনের নাম মাহমুদুল হাসান দোলন ও মেহেদি হাসান।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগেই তারা স্টুডেন্ট ভিসায় দেশটিতে যান। তারা আজোভ সাগরের উপকূলীয় এ শহরে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি এই শহরটিতেও আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া।
বাংকারে আটকে পড়া দোলনের ভগ্নীপতি পোল্যান্ড প্রবাসী মাসুদুর রহমান তুহিন জানান, শনিবার দোলনের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ ঘণ্টার ‘হিউম্যান করিডর’ দেওয়া হয়েছিল। তখন দোলন ও মেহেদিসহ ৪০ জন সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু মাঝপথে ইউক্রেনের সেনারা তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়। কারণ তখন রাশিয়া সেখানে বোমাবর্ষণ করছিল।
এরপর মারিউপোলে একটি বাংকারে আশ্রয় নেন দোলন ও মেহেদিসহ অন্যরা৷ সেখানে পোঁছে ভগ্নীপতিকে ভয়েস মেসেজ পাঠান দোলন। তারপর থেকে আর যোগাযোগ নেই। দোলনের ভগ্নীপতি জানান, তারা খুবই অমানবিক অবস্থায় সেখানে আছে। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, খাবার নেই।
এ বিষয়ে পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বলেন, সুমি থেকে এরই মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই বাংলাদেশিকেও উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তারপরও ‘লোকেশন’ ধরে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা হিউম্যান করিডরের জন্য অপেক্ষা করছেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
সরকারি পর্যায়ে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে এখন তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। রেডক্রসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
এদিকে দোলন ও মেহেদিকে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিবার।
খুলনা গেজেট/ এস আই