ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা নিয়ে বিদ্যমান আশঙ্কার মধ্যেই রাশিয়াকে কঠোর জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ভার্চ্যুয়ালি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স, সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের এটিই প্রথম ভার্চ্যুয়াল কোনো বৈঠক।
মঙ্গলবারের এই বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রুশ সেনাবাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপের মিত্রদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। আর তাই রাশিয়া যদি তার প্রতিবেশী এই দেশটিকে আক্রমণ করে তাহলে প্রতিক্রিয়া হিসেবে মস্কোর বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করবে না। এসময় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও উসকানিরও অভিযোগ আনেন তিনি। বৈঠকের একপর্যায়ে পূর্ব ইউরোপে সামরিক জোট ন্যাটোর বিস্তার না করা এবং রাশিয়ার আশেপাশে বিধ্বংসী অস্ত্রের মোতায়েন না করা বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউস বলছে, গ্রিনিচ মান সময় মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পরে) ভিডিওকলের মাধ্যমে বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে এই বৈঠক শুরু হয়। এরপর দুই নেতা একটি সুরক্ষিত ভিডিও লিংক অ্যাপে দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। একইসঙ্গে সংঘাতের সম্ভাবনা কমাতে এবং কূটনৈতিক পথে ফিরে আসতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।’
অবশ্য ইউক্রেনে আক্রমণ হলে বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছেন কি না- তার কোনো ইঙ্গিত ওই বিবৃতিতে দেওয়া হয়নি। এমনকি ভার্চ্যুয়াল ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতিক্রিয়া কি ছিল, সে বিষয়েও হোয়াইট হাউস কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে যে, বিশ্বজুড়ে কৌশলগত অস্ত্র স্থিতিশীল রাখা; সাইবার হামলা প্রতিরোধ এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন রোধে যৌথ প্রচেষ্টা নিয়েও দুই নেতা ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠকে আলোচনা করেন।