রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম এর ব্যাবহৃত সরকারি মোবাইল সিম ক্লোন করে চাঁদা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ১০নং বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলীর ব্যবহৃত ০১৭১১৩৩৫৮৭০ নম্বর ফোনে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলা হয় তার ভাই সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার এ মূহুর্তে জরুরিভাবে টাকার প্রয়োজন। এজন্য তিনি ৫০ হাজার টাকা চান। জবাবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, আপনি কি বলেন স্যার ? আমি সেটেলমেন্ট অফিসে। আমি আপনার কাছে আসছি। তখন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় এটা তো সরকারি নম্বর। আমি ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিচ্ছি। এই বলে ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি কল কেটে দেন। পরবর্তীতে ০১৯৪৪৮৩৮১২৮ নম্বর দিয়ে ফোন করে বলেন এটা আমার ব্যক্তিগত নম্বর। এটাতে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করুন। আমার মিটিং আছে। আমি ১২ টায় বাগেরহাট যাবো। আপনার সাথে দেখা করার সুযোগ হবে না। ফোন শেষে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসেন মোহাম্মদ আলী, এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, কি হয়েছে ? তখন বিষয়টি তিনি খুলে বলেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় রামপাল থানাকে জানাতে। মোহাম্মদ আলী ফোনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এ সময় তিনি বলেন এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। এ জন্য সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন ওই কর্মকর্তা। এমন ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী হতবাক ও ভীত হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে বলেন প্রতারক চক্রকে ধরা না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড