দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নতুন গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন ইউএনও অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মচারী রবিউল ইসলাম ও নৈশ প্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ। রবিউল ইসলাম মালি পদে কাজ করতেন। এদিকে, ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারি ইউএনও অফিসের কর্মচারি রবিউলের ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আর ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি ও মই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য এ তথ্য জানান। বলেছেন, অপরাধটির সঙ্গে কারা জড়িত সেটি শনাক্তের জন্য একটি মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা রবিউল নামের একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। তার বাড়ি বিরলের বিজরা গ্রামে। সে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বক্তব্য প্রদান করেছে। আর তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু আলামতও উদ্ধার করেছি। ব্যবহৃত অস্ত্র হাতুড়িটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছি। যে সিসিটিভি ফুটেজকে সংগ্রহ করে সেটির সঙ্গে আমরা মিলিয়ে দেখছি। আজকে তাকে আমরা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করব এবং তার রিমান্ড চাইব। রিমান্ডে নিয়ে এসে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়া আসাদুলের বিষয়ে রংপুর ডিআইজি বলেন, আসামি আসাদুলকে রিমান্ডে নেয়ার প্রয়োজন আর মনে করি না। যেহেতু আসাদুল স্বীকারুক্তি দিয়েছিল র্যাবের কাছে কিন্তু এখন আসাদুলকে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি ছাড়াই কেন কারাগারে পাঠানো হলো-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। র্যাবের যিনি কর্মকর্তা ছিলেন, তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকষ হিসেবেই জানি। হয়তো এ ব্যাপারে কেউ মিসগাইড করেছে।