২০১০ সালে ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রথমবার ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। স্মরণীয় সিরিজে লর্ডস ও ম্যানচেস্টারে টেস্ট সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর জাতীয় দলের হয়ে একাধিকবার ইংল্যান্ড সফর করেছেন। এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলা হলো ইংল্যান্ডের মাঠে। সিরিজ জেতার পর কিছুটা আবেগাক্রান্ত তামিম জানালেন, ইংল্যান্ডে হয়ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর খেলা হবে না তার। শেষ ম্যাচটা তাই চেয়েছিলেন রাঙাতে।
রোববার নাটকীয়ভাবে আয়ারল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। প্রায় হারতে বসা ম্যাচ নাজমুল হোসেন শান্ত, মোস্তাফিজুর রহমান আর হাসান মাহমুদের ঝলকে জিতে যাওয়ায় উচ্ছ্বাসটা ছিল অনেক বেশি।
পরে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে বিদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নে জানান ইংল্যান্ডে তিনি খেলে ফেলেছেন তার শেষ ম্যাচ, ‘আমি সম্ভবত ইংল্যান্ডে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছি, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচের কথা বলব। আগামী তিন-চার বছরে কোন সূচি নেই। কাজেই এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ। খুব উপভোগ করেছি।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে লর্ডসের অনার্সে বোর্ডে নাম উঠানোর ঈশারা করেছিলেন তামিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আইকনিক ছবিগুলোর একটি হয়ে আছে তা। এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চেমসফোর্ডে খেলা পড়ার সূচি হওয়ার পর থেকেই তামিম ভাবছিলেন, ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের হয়ে আর খেলতে আসা হবে না। শেষ সিরিজটা তাই বিশেষ কিছু করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ব্যাট হাতে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর শেষ ম্যাচে ৬৯ রান করেন তামিম। খুব সাবলীল ফিফটি না হলেও এই রানকে সুখস্মৃতি হিসেবে রাখতে চান কিছুটা মন খারাপ করা বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘অবশ্যই ( শেষ ম্যাচ খেলায় মন খারাপ)। আমি এই সিরিজের আগেই চিন্তা করছিলাম। কারণ এই আমাদের সূচিতে তিন-চার বছরে এরকম আর কিছু নেই। আমি ভালো কিছু একটা আশা করছিলাম। কারণ আমি এখানে যখন প্রথম আসি তখন এটা বিশেষ ছিল। এটা আমার শেষ ছিল। আমি বিশেষ কিছু করতে চেয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে করতে পারছিলাম না। যাই হোক এটা ভালো যে কিছু রান করা গেছে অবশেষে স্মৃতিটাকে ভালো রাখার জন্য।’
২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত করা আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনায় ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কোন সফর নেই। ততদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার আর টেনে নেওয়ার ইচ্ছা না থাকারই আভাস দিলেন তামিম।
খুলনা গেজেট/এনএম