খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর আসামিরা বাদীর পরিবারসহ সাংবাদিকদের দিকে উত্তপ্ত বাক্য ছুড়েছে। রায় ঘোষণার পর আদালতের কাঠগড়া থেকে রাজিনের মাকে হুমকিও দিয়েছে তারা।
আজ সোমবার (২৩ মে) খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এ। সকাল থেকে খুলনার গণমাধ্যম কর্মিরা ওই আদালত চত্বরে উপস্থিত হতে থাকেন। সাংবাদিকদের সেখানে দেখে উত্তেজিত হতে থাকে রাজিন হত্যা মামলার আসামিরা। তাদের লক্ষ্য করে এজলাস থেকে জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ দরজা বন্ধ করে দেয়।
৩০২/৩৪ ধারায় ১৭ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে আসামিরা ন্যায় বিচার পায়নি বলে চিৎকার করতে থাকে। একপর্যায়ে একজন সাংবাদিক উপস্থিত হলে তাকে উদ্দেশ্যে করে পানি নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করতে এজলাসের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।
দুুপুর ২ টার দিকে পুলিশ আসামিদের নিয়ে কারাগারে উদ্দেশ্যে রওনা হলে সাংবাদিকদের দেখে আসামিরা গালাগালি করতে থাকে। কারাগারে যাওয়ার পথে আসামিরা আদালত চত্বর থেকেই ন্যায় বিচার পায়নি বলে শ্লোগান দিতে থাকে। আসামিদের এরূপ আচারণ দেখে আদালত চত্বরে উপস্থিত মানুষ হতবাক হয়ে যায়।
এদিকে নিহত রাজিনের মা রেহেনা খাতুন বিচারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আসামিদের একজন তাকে দেখে নেওয়াসহ গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। আসামিদের আত্মীয় স্বজনদের ভয়ে কোর্ট এলাকা থেকে তিনি বের হতে পারেনি। পরে পুলিশের সহায়তায় ইজিবাইকে চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এর আগে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ কোন ধরণের বিচার ব্যবস্থা। আমি এখানে আমার সন্তান হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। উপরন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যকে আসামিরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে! তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।