সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মোছা. কমলা খাতুন (৫৫) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দক্ষিন দরগাহপুর গ্রামের নিজ বাড়ির অঙিনায় বিচলী গাদার পাশ থেকে এই মরেদহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্বামী ও তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রীসহ সাতজনকে আটক করেছে।
নিহত গৃহবধূর মোছা. কমলা খাতুন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিন দরগাহপুর গ্রামের মো. মোবারক আলী গাজীর স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী জানান, ফজরের আযান দিলে তিনি তার স্ত্রী কমলা খাতুনকে নামাজ পড়ার জন্য ডেকে দিয়ে বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে চলে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ঘরে নেই। পরবর্তীতে খোঁজাখুজির এক পার্যায় নিজ বসত বাড়ির পাশে বিচলী গাদার পাশে গলাকাট মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে আশাশুনি থানায় খবর দেয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূর দুই ছেলে মো. ওলিউর রহমান (২৪) ও মো. ফয়জুল্লাহ (২১) মাছের ঘের ও ভাটায় কাজ করে। তারা দু’জনেই বিবাহিত। পারিবারিক কলহের জের ধরে গ্রহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। নিহত গৃহবধূ ৪/৫ বছর ধরে মেরুদন্ডের ব্যাথার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মোবারক আলী গাজীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিল নিহত কমলা খাতুন। পারিবারিক কলহের কারনে দু’জন আলাদা ঘরে ঘুমাতেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী, তার প্রথম পক্ষের ছেলে খানজাহন আলী, দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলে ওলিউর রহমান ও ফয়জুল্লাহসহ তাদের তিনজনের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে সুরহতাল রির্পোট শেষে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।
খুলনা গেজেট/এনএম/এএজে