খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সুমন মোল্লা নামের একজনকে গুলি করে হত্যা
  সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয় : ডিএমপি
  মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি ৬ মে পুনর্নির্ধারণ

আলুর খুচরা মূল্য নির্ধারণ, কেজি প্রতি ৩০ টাকা

গেজেট ডেস্ক

খুচরাপর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এ নিয়ে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরকারি সংস্থাটি চিঠি দিয়েছে বলে বুধবার জানা গেছে।

তিনস্তরে আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খুচরাপর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা বিক্রি করতে হবে। পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা আর হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকা বিক্রি করতে হবে।

প্রতি কেজি আলু খুচরাপর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রির বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলেও জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। ভোক্তাপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশে গত আলুর মৌসুমে প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, দেশে মোট আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। এতে দেখা যায় যে, গত বছর উৎপাদিত আলু থেকে প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। কিছু পরিমাণ আলু রফতানি হলেও ঘাটতির সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

‘আলুর মৌসুমে যখন হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে, তখন প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজি আলুতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ের সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।’

চিঠিতে বলা হয়, সংরক্ষিত আলুর কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থেকে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরাপর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তার কাছে আলু বিক্রয় করা যুক্তিযুক্ত। এ ক্ষেত্রে হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে আলু সংরক্ষণকারীর ২ টাকা মুনাফা হয় বলে প্রতীয়মান হয়।

অন্যদিকে আড়তদারি, খাজনা ও লেবার খরচ বাবদ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সেই অনুযায়ী পাইকারি মূল্য (আড়ৎ পর্যায়) ২৩ টাকা ৭৭ পয়সার সঙ্গে মুনাফা যোগ করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা দেয়া যেতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

একজন চাষির প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি কেজি আলু খুচরাপর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করবেন।

সরকার নির্ধারিত মূল্যে হিমাগার, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে সবজিটি বিক্রয় করেন সে জন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে ডিসিদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে।

সম্প্রতি খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে। আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বিক্রেতাদের, আর পাইকারি বিক্রেতারা হিমাগার মালিকদের দুষছেন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!