বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাট-বাজারে কোন আলু নেই। আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাটেরদিনে এখানকার পাইকারী ব্যবসায়ীরা মোকাম থেকে আলু আমদানী করেননি। তাই খুচরা দোকান গুলো আলু শুণ্য। বাজারে আলু কিনতে আসা ক্রেতারা খালি হাতে ফিরছেন। আর আলুর প্রভাব গিয়ে পড়ছে অন্যান্য সবজির উপর।
দুপুরে এমনটাই জানালেন আলু কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাওয়া ক্রেতা মোঃ গোলাম মোস্তফা, বলরাম বিশ্বাস, নজরুল তালুকদার ও সালাম বিশ্বাস।
তারা আরও জানান, সবজির জগতে আলুর কোন বিকল্প নেই। প্রায় সব তরকারিতেই আলুর প্রয়োজন। আলু ছাড়া নিত্যদিনের খাবার তালিকা প্রায় অচল। তাই তারা দ্রুত এ সংকট সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
চিতলমারী বাজারের খুচরা আলু ব্যবসায়ী মোঃ তায়ফুর রহমান, মোঃ ফারুক, মিজানুর রহমান ও মোঃ আজিজুল শেখ জানান, পাইকারী ব্যবসারীরা আলু আনেননি। তাই তারা আলু বিক্রি করতে পারছেন না।
চিতলমারী বাজারের পাইকারী আলু ব্যাবসায়ী মোঃ সমিরুল ইসলাম, অহিদ মোল্লা, শওকাত হোসেন ও আকবর আলী বলেন, ‘চিতলমারী সদর বাজারে শনিবার ও বুধবার হাটের দিন। প্রতি হাটে এ উপজেলায় প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মন আলুর চাহিদা রয়েছে। এ বাজারে ৬ জন আলুর পাইকারী ব্যবসায়ী রয়েছেন।
আমরা গোপালগঞ্জ, বাধাল ও খুলনার মোকাম থেকে আলু আমদানি করে থাকি। মেকোমে প্রতিকেজি আলু ৩৮ টাকা দরে ক্রয় করি। প্রতি কেজি আলুতে খরচ পড়ে ১ টাকা। এছাড়া ৬০ কেজির আলুর বস্তায় ১৫ কেজি গুড়ো আলু থাকে। পঁচা এবং কাটা আলু থাকে ২ থেকে ৩ কেজি। পাইকারী প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা এবং খুচরা ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করি। কিন্তু স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন আমাদের প্রতি কেজি আলু সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা দরে বিক্রি করতে বলেছেন। এতে আমাদের মন প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লোকসান গুনতে হয়। তাই লোকসানের ভয়ে এ হাটে আমরা আলু আমদানি করি নাই।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসমত হোসেন বলেন, ‘আলুর বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
খুলনা গেজেট/ টিএ