বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও খুলনা মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার । ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট সকালে নগরীর শামসুর রহমান রোডে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলায় জনপ্রিয় এই আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হন। এ সময় তার সাথে আরও নিহত হন এ্যাড. বিজন বিহারী মণ্ডল ও রিক্সাচালক সাইদুল ইসলাম আকন্দ।
মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
পরিবার থেকে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট মঞ।জুরুল ইমাম ছিলেন নগরীর বয়রা এলাকার সন্তান। ১৯৩৯ সালের ৯ নভেম্বর নওয়াপাড়ায় নানা বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় সাউথ সেন্ট্রাল রোড ও সামছুর রহমান রোডে কাটিয়েছেন। শেখ মোঃ ইউনুস তার পিতা, ফাতেমা বেগম তার মা। ১৯৫৬ সালে জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৯ সালে বিএল কলেজ থেকে আইএ, ১৯৬১ সালে একই কলেজ থেকে বিএ ও ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
১৯৬৭ সালে খুলনা শহর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৮২ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত মহানগর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে জিলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিক পালন করেন। (অধ্যক্ষ জাফর ইমামের স্মৃতিচারণ)। ১৯৯৫ সালে খুলনা সেন্ট্রাল ল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। ১৯৯৬-৯৮ জাতীয় সমবায় ব্যাংকে ডাইরেক্টর, ল্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংকে চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিস ট্রাস্টের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে খুলনা-২ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট বাসভবনের অদুরে দূবৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। মেহেরুননেছা তার স্ত্রী।
সদর থানা আ’লীগের শোকসভা
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মঞ্জুরুল ইমাম ছিলেন একজন অজাতশত্রু মানুষ। তাকে কোন মানুষ হত্যা করতে পারে না। এটা শুধুই রাজনৈতিক জিঘাংসার প্রতিফলন। আর আওয়ামী লীগকে মেধাহীন রাজনীতিতে পরিণত করারই একটা বৃহৎ চক্রান্ত। তিনি বলেন, তিনি নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে কখনও রাজনীতি করেননি। তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. মঞ্জুরুল ইমামের ২০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, আব্দুল হাই পলাশ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আতাউর রহমান শিকদার রাজু, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আযম খান, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মুন্সি মো. সেলিম আহমেদ, মো. শিহাব উদ্দিন, নাছরিন আক্তার, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, পারভিন ইলিয়াছ, নূরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, বলাকা রায়, নজরুল ইসলাম, কবীর পাঠান, শেখ হারুন মানু, ফেরদৌস আলম রিতা, রেজওয়ানা প্রধান, শবনম মুস্তারী বকুল প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এইচ