বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাহান ওমর (বীর উত্তম) বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগনের ম্যান্ডেটে কখনো ক্ষমতায় আসতে পারেনি। বিনাভোটে-বিনা পরিশ্রমে এমপি বানিয়েছেন তারাও যে কবে আপনার সঙ্গে বেঈমানী করবে সেদিন বেশি দূরে নয়। আমরা জানি একজন এমপি-মেয়র হতে হলে ঘন্টার পর ঘন্টা, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ জনগনের খেদমত করে যদি একটা সীট পায়। একটা সীট জনগণের খেদমত করে আসে। আর এরা জনগনের কাছে যায় না।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্র ঘোষিত মহাসমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজক।
তিনি বলেন, মেজর জিয়ার খেতাব বাতিলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ অচিরেই আন্দোলন গড়ে তুলবে। ব্যাংক লুটকারী ও জাতীয় সম্পদ লুটকারী আ’লীগের পতনের সময় এসেছে। সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহব্বান জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খুলনার মহাসমাবেশে কর্মীদের আসতে পথে পথে বাধা দিয়েছে। তারপরও হাজার হাজার জনতা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরই সরকারের শেষ সময়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছেন। ১৬ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ছিনিয়ে নিয়ে দলের এমপি বানিয়েছেন। তারাই ব্যাংক লুট করছেন। শেয়ারের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ প্রশাসন দেশকে সর্বনাশের দিকে নিয়েছে। শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের নিন্দা করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সমাবেশ পন্ড করার জন্য পুলিশ বাড়ি বাড়ি যেয়ে ভয়-ভীতি এবং দুদিনে ৩১ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তারপরও মহাসমাবেশ সফল করেছে। তিনি এ ঘটনাকে দুঃখজনক বর্ণনা দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের খাবার হোটেলে পুলিশ তালা দিয়েছে। খেয়াঘাট-বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। এটি তাদের প্রতিহিংসার ফল। আগামীতে নির্বাচনকে অর্থবহ করতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক হুইপ মশিউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশালের মেয়র প্রার্থী মুজিবর রহমান সরোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী রুমি, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দীন, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম। এর আগে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, নগর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, জেলা শাখার শেখ আবু হোসেন বাবু ও নগরের আসাদুজ্জামান মুরাদ।