চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার(৭ মে) সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে স্লোগানে স্লোগানে তাদের দাবি জানাতে থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠুর রুমে তালা দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গোলাম সরোয়ার মিঠু কলেজ সরকারিকরণের আগে চারজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে তৎকালীন গভর্নিং বডিকে ম্যানেজ করে অধ্যক্ষের পদ দখল করেন। তিনি একজন উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক হয়েও অলৌকিক ক্ষমতাবলে পরিচালনা করছেন সরকারি ডিগ্রি কলেজ। টানা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সেখানে দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগও রয়েছে। তাই, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও কলেজে ডেপুটেশনে একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজের এমপিও শিট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে আবু সৈয়দ আল মামুন রেজা, আলম হোসেন, আব্দুল মোনায়েম ও শেখ শফিউজ্জামানের পরের অবস্থানে আছেন গোলাম সারোয়ার। তিনি কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত।
শিক্ষকরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে হলে সেই শিক্ষকের বিষয়টি ডিগ্রি পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু কৃষি শিক্ষা বিষয়টি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের।
এ প্রসঙ্গে গোলাম সরোয়ার মিঠু বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এজন্য কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই