কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সাংবাদিক ইসমাইল আলগৌলকে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালে অভিযান চালানোর সময় তাকে ধরে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। এসময় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। খবর আল-জাজিরার
সোমবার আল-শিফা হাসপাতালে দখলদার বাহিনীর অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসমাইল আলগৌলসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, তাদেরকে ব্যাপক মারধর করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর চ্যানেলের গাড়ি, ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
গতকাল সোমবার এএফপিকে এক বিবৃতি পাঠায় আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক চ্যানেল। সেখানে তারা সাংবাদিক ইসমাইল এবং তার সঙ্গে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও দখলদার বাহিনীর দায়িত্ব বলে উল্লেখ করে।
আল-জাজিরার একটি সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে এএফপির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, ইসমাইলের সঙ্গে আরও পাঁচজন ক্যামেরা ক্রু ও ইঞ্জিনিয়ার গ্রেপ্তার হয়েছেন।
‘প্রাথমিক তদন্তে’ প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানায়, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অন্তত ৯৫ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯০ জনই ফিলিস্তিনি। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানে আল-জাজিরার দুই সাংবাদিক নিহত এবং ব্যুরো চিফ ওয়াএল আল-দাহদুহ আহত হন।
খুলনা গেজেট/এনএম