বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারবাখকে কেন্দ্র করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের গোলাগুলিতে আরো অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। গতকাল সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ উভয়পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে ভারী গোলাবর্ষণের অভিযোগ এনেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সোমবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ আংশিক সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। দেশটির প্রসিকিউটরের কার্যালয় গতকাল রয়টার্সকে জানায়, সোমবার তাদের দু’জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। লড়াইয়ের শুরুতে প্রথম দিন রোববার আজারবাইজানের পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় ও ৩০ জন আহত হয়।
এদিকে, নাগোরনো-কারবাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবারের গোলাবর্ষণে তাদের ৫৩ সেনা নিহত হয়েছে। এর আগের দিন রোববার ৩১ কর্মকর্তা নিহত হন ও ২০০ জন আহত হন। তবে রোববার হারানো কিছু এলাকা সোমবার পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। ২০১৬ সালের পর থেকে দেশ দুটির মধ্যে এটিই সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের ঘটনা।
এবারের লড়াইকে ‘জীবন-মরণ যুদ্ধ’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন নাগোরনো-কারবাখ নেতা আরায়িক হারুতিউন্যান।
তবে এই যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদে গড়ালে প্রতিবেশী শক্তিমান দুই রাষ্ট্র রাশিয়া ও তুরস্ক মুখোমুখি অবস্থানে চলে যেতে পারে। আর্মেনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সামরিক সখ্য রয়েছে রাশিয়ার। অন্যদিকে আজারবাইজানে তুর্কি জাতিসত্তার লোকজন থাকায় আঙ্কারার সমর্থন পাচ্ছে আজারবাইজান।
এদিকে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাত দেখতে চায় না বলে চীন জানিয়েছে। সংঘাতপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় পক্ষকে শান্ত ও সংযম হতে আহ্বান জানাচ্ছে চীন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এরই মধ্যে উভয়পক্ষের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আজ মঙ্গলবার নাগোরনো-কারবাখ নিয়ে জরুরি বৈঠক করতে পারে।
খুলনা গেজেট/এআইএন