ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ৮ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। মেসিদের এমন ম্যাচের দিন লুসাইল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলারদের তারার মেলা বসেছিল। এ যেন এক পুনর্মিলনী।
লিওনেল মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী রোনালদিনহোর সম্পর্কটা মধুর। বার্সেলোনায় দুজনের লম্বা সময়ের সুখস্মৃতিও আছে। লিওনেল মেসির বেড়ে উঠার সময়টায় কাতালান ক্লাবটিতে রাজ করছিলেন রোনালদিনহো। অনেকে বলছেন, মূলত আর্জেন্টিনার খেলা দেখার জন্যই গ্যালারিতে ছিলেন রোনালদিনহো। মেসির অ্যাসিস্টে আলভারেজের গোলের পর হাততালি দিতেও দেখা যায় তাকে।
রোনালদিনহো ছাড়াও কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল উপভোগ করেছেন রোনালদো, কাফু, রবার্তো কার্লোস এবং দিদারা। আর তাইতো ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো টুইট করেছেন, বিশ্বকাপে ফ্যামিলি রিইউনিয়ন।
এদিকে কোয়ার্টারে যে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ব্রাজিলের, সেই ক্রোয়াটদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। শিরোপা থেকে এক পা দূরে আকাশি-সাদারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও লাতিন দল হওয়ায় আর্জেন্টিনার জয় চায় ব্রাজিলের অনেকে। খোদ ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনও শুভকামনা জানিয়েছে।
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো লিমাও চান মেসির স্বপ্নপূরণ হোক; কিন্তু তিনি আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা দেখতে চান না। দুই দেশের ফুটবল বৈরিতার প্রসঙ্গ টেনে একথা বলেছেন সাবেক মিস্টার নাম্বার নাইন। লিওনেল মেসি সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কিন্তু বিশ্বকাপ শিরোপাটা তার এখনও ছুঁয়ে দেখা হয়নি। মেসি শিরোপা জিতে গেলে খুশিই হবেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। কিন্তু আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা দেখলে একটু খারাপই লাগবে তার।
এ সম্পর্কে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কাকে রোনালদো বলেন, ‘মেসির জন্য আমি খুশি হব। কিন্তু আপনি জানেন, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যে একটা ফুটবল বৈরিতা আছে। আর্জেন্টিনা জিতুক, একথা বললে তাই হিপোক্রেটের মতোই শোনাবে। এটা সত্য নয়।’