প্রেমের টানে মেয়ে হয়ে আরেকটি মেয়েকে ভালোবেসে নিজের স্ত্রী হিসাবে দাবি করছেন ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে মোংলায় বেড়াতে আসা সুবর্ণা।
টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়ের সুবাদে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক থেকে রুপ নেয় তাদের ভালোবাসা। এভাবে চলতে থাকে ২/৩ মাস। এই ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়তে থাকে তন্বী ও সুবর্ণার। শেষমেশ এ আকাঙ্ক্ষা রুপ নেয় বাস্তবে।
ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে গোপালগঞ্জের বড়দিয়া এলাকার শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মো. রবি শেখের মেয়ে সুবর্ণা প্রেমের টানে মোংলা পৌর শহরের মোর্শেদ সড়কের রহমান শেখের মেয়ে তন্বীর কাছে ছুটে আসে। একটি রাতও কাটান তারা একসাথে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সুবর্ণার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের টিকটকের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। আমরা কোরআনকে সাক্ষী রেখে একে অপরকে বিবাহ করেছি। আমি এখন আমার বউকে নিয়ে যেতে এসেছি। আমি ওকে ছাড়া বাচঁবো না।
তন্বীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, টিকটক থেকে পরিচয় হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তার সাথে এ্যাড হই। পরে সে ( সুবর্ণা) একটা গ্রুপে আমাকে এ্যাড করে। আমাকে মজা করে সুবর্না বউ বলে ডাকতো। পরে সে আমাকে বিবাহ করছে চায়। আমি বলি তুমি কোরআন শরীফ ছুয়ে কছম কাটো ও কাটতে চায়না। আমাকে কছম কাটায়। আজকে আমাকে নিতে আসছে।
তন্নীর পরিবার সুত্রে জানাযায় শুক্রবার শুবর্ণা তন্নীর বান্ধবী পরিচয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসে তাদের এ সম্পর্কের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে শুবর্নার মা পারভিন বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আমার মেয়েকে নিয়ে আসবো। আমাদের একটু সময় দেন।
মেয়ে হয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে স্ত্রী হিসাবে দাবি করার এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ও এলাকাবাসী ভিড় করেন তন্নীর বাড়িতে।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এটা বিবাহের কোন বিষয় না। তারা দুজনেই টিকটক করে। তারা দুজনই বান্ধবী। সুবর্না এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তার মা-বাবা আসলে তাদের হেফাজতে শুবর্ণাকে দেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে