আরব আমিরাতের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করলো বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফিফ হোসেনের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের পর মিরাজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আমিরাতের অধিনায়ক রিজওয়ান। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫১ রান করে সন্তুষ্ট থাকতে হয় আমিরাতকে।
ম্যাচের শেষ দিকে নিজেদের নার্ভ ধরে রাখতে না পেরে লোপ্পা ক্যাচও ছেড়ে বসে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেখান থেকে শেষ ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ৭ রানের জয় পাইয়ে দেন শরিফুল ইসলাম।
দুবাইয়ে এদিন বাংলাদেশি ব্যাটারদের ভালোই পরীক্ষা নেয় আমিরাতের বোলাররা। পঞ্চাশ রানের আগে বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নেয় দলটি। ৭৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় নুরুল হাসান সোহানের দল। টপ অর্ডারের মধ্যে মিরাজের ব্যাট থেকে ১২ এবং লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়েন আফিফ। যেখানে সোহান করেন ২৫ বলে ২টি করে চার-ছয়ে অপরাজিত ৩৫ রান। অপরপ্রান্তে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ৫৫ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকে আমিরাতের ব্যাটাররা। ৩ উইকেট হারালেও প্রথম ১০ ওভারে ৭৯ রান তুলে ফেলে আমিরাত। বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় মিরাজের জাদুকরী বোলিং। এই অফস্পিনার ৩ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মাঝের অভারে আটকে রাখে আমিরাতকে। এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মিরাজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
এরপর মাঝের সময়টা খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। ১০২ রানের মধ্যে আমিরাতের ৭ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। যদিও এরপরে আয়ান আফজালের ২৫ রান, কার্তিকের ১২ এবং জুনায়েদের ১১ রানে ভালোই লড়াই করে দলটি। শেষ ওভারে জিততে ১১ রান লাগতো আমিরাতের। সেখান থেকে প্রথম ২ বলে ৩ রান দেওয়ার পর টানা দুই বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ৭ রানের জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল।