সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি ফার্নিচারের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নে। মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আমিরাতের শারজাহ শহরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউপির পলতি তারাবাড়ীয়া গ্রামের আবু তাহের পাটোয়ারী বাড়ির মো. ইউসুফ (৪৩), একই এলাকার বড়বাড়ির তারেক হোসেন বাদল (৪০) ও পলতি হারিছ মিয়ার বাড়ির মো. রাসেল (৩০)।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে তিনজনের পরিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পারে। এরপর বেলা ১১টার দিকে নিহত ইউসুফের ছোট ভাই ইমরান হোসেন আবুধাবি থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পান। এরপর তিন পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজন, প্রতিবেশি ও শত শত নারী-পুরুষ ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে।
নিহত ইউসুফের ছোট ভাই গোলাম রসুল বলেন, আমার বড় ভাই ২৫ বছর ধরে আমিরাতে প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন। তিনি শারজাহ শহরে একটি ফার্নিচার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। বাড়িতে তার দুই ছেলে আছে। সর্বশেষ পাঁচ বছর আগে দেশে এসেছিলেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে কারখানায় আগুন লাগে। ওই ঘটনায় আমার ভাইসহ আমাদের ইউনিয়নের আরও দুজন দগ্ধ হয়ে মারা যান।
গোলাম রসুল বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানতে পারেননি। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই দেশে থাকা আত্মীয়স্বজন আজ দুপুরে মুঠোফোনে কল করে বিষয়টি গ্রামের বাড়িতে জানান। আমার ভাইসহ নিহত তিনজনের মরদেহ এখনো দেশটির পুলিশের হেফাজতে আছে। সেখানে থাকা স্বজনেরা দূতাবাসের মাধ্যমে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। আমরা এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছি।