রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের পর আরও সাত দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। দেশগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, লাটভিয়া, নরওয়ে, জাপান ও এস্তোনিয়া। যত দ্রুত সম্ভব নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে এসব দেশ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।
অন্যদিকে, ইসরায়েল তাদের দূতাবাসের কর্মীদের স্বজনদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে, ইউরোপীয় কমিশন তাদের কর্মীদের এখনই ইউক্রেন থেকে সরাচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, এখনই আমরা কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছি না। তবে, কর্মস্থলে যাওয়া জরুরি নয় এমন কর্মীদের দেশের বাইরে থেকে ভার্চুয়ালি দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দেখা দেওয়ার মধ্যেই পোল্যান্ডে নতুন করে তিন হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, নর্থ ক্যারোলিনায় অবস্থিত ফোর্ট ব্রাগ সামরিক ঘাঁটি থেকে ৮২ এয়ারবোন ডিভিশনের সেনাদের পোল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হবে। মূলত ন্যাটো সেনাদের সাহায্য করতেই তাদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়া কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুতিন-ম্যাক্রোঁর দ্বিতীয় দফা বৈঠক হতে যাচ্ছে এটি।