খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আর মাত্র ৬টি স্প্যান, বিজয় দিবসের আগেই দৃশ্যমান হবে পদ্মাসেতু

বিশেষ প্রতিনিধি

আর মাত্র ৬টি স্প্যান বসলেই পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে। আর সব কিছু ঠিক থাকলে এ কাজটি সম্পন্ন হতে সময় লাগবে আর মাত্র দেড় মাস। অর্থাৎ বিজয় দিবসের আগেই সম্পন্ন হবে পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানো কাজ।

এর আগে শনিবার মাওয়া প্রান্তের ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয় ৩৫ তম স্প্যানটি। আর এর ফলে মূল সেতুর দৃশ্যমান হয়েছে ৫ হাজার ২৫০ মিটার। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো: আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে ৪টি স্প্যান বসানো হয়েছে। নভেম্বরে বসানো হবে আরও ৪টি। তবে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি সব ক’টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ অথবা ৬ নভেম্বর ২ ও ৩ নম্বর খুঁটিতে ৩৬তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটিতে ৩৭ তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর খুঁটিতে ৩৮ তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯ তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) এবং আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৪১ নম্বর স্প্যানটি (স্প্যান ২-এফ) বসানোর কথা আছে। সবগুলো স্প্যান মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, ১ হাজার ৪১ টির বেশি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০টির বেশি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ৩৫টি স্প্যান। ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহীত এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ দশমিক ৫০ ভাগ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৭ দশমিক ৫৫ ভাগ। নদী শাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৫০ ভাগ। এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার ৭৯৬ দশমিক ২৪ কোটি টাকা।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!