বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করছে। সৎ, যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খুলনা মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংগঠনিক কাঠামো আরও সুসংহত করতে এই অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বঙ্গবাসী বাবুস সালাম মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০ নং ওয়ার্ড অফিস ফিতা কেটে উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথেই আমাদের পথচলা, ১০ নং ওয়ার্ড অফিস উদ্বোধনের মাধ্যমে খুলনা মহানগরীর আরো একটি দ্বীন কায়েমের পাঠশালা তৈরি হলো, আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার হুকুমে লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো এবং আমাদের নেতাকর্মীদের শূণ্য করতে চেয়েছিলো। সে দিন ঢাকা পল্টন ট্রাজেডিসহ সাড়া দেশে প্রায় দেড় হাজার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের বিনিময়ে আজকের এই সুন্দর দিন পেয়েছি। আগামীতে আর কোন অপশক্তি যেন এরকম তান্ডব না চালাতে পারে সেই জন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ভুমিকা পালন করতে হবে। সুন্দর এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান ।
১০ ওয়ার্ড আমীর গাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বিপ্লব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, খালিশপুর থানা সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল। এতে হামিদুল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন, মহিব্বুর রসুল, আবু হানিফসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ইসলামী কল্যাণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠন করা। যে রাষ্ট্রে নারী-পুরুষ, মুসলিম-অমুসলিম সকলে সম অধিকার ভোগ করবে। থাকবে না কোনো জুলুম, অত্যাচার, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, যিনা-ব্যাভিচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা। সব নির্মূল করে জামায়াত একটি সাম্যের সুন্দর এবং ভাতৃত্বের একটি সমাজ গঠন করার জন্য কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেলে সবচেয়ে নিরাপদে থাকবে অমুসলমানেরা। এজন্য প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষিত, যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের। এই লক্ষ্যে প্রত্যেক ওয়ার্ডে অফিস জামায়াতে ইসলামীর একটি পাঠশালায় পরিণত হবে। এরই অংশ হিসেবে মহানগরীর আরো একটি ওয়ার্ডের এই অফিস উদ্বোধন করা হলো। এটি শুধু অফিস হিসেবেই থাকবে না। এটা হবে সকল অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার কেন্দ্র। এবং কুরআন-হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য গবেষণার কেন্দ্র। কুরআন-হাদিসের শিক্ষা অর্জন ব্যতীত সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হবে না। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, দখলদারিত্ব, লুটপাট চিরতরে বন্ধ করতে হলে কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা অর্জনের বিকল্প নেই।
খুলনা গেজেট/এএজে