‘আয়নাঘর’ নিয়ে তদন্তকারী দলকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতির অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আজ রোববার তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল বলেন, চানখারপুল, আশুলিয়া ও গণঅভ্যুত্থানের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনটি মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে দু’টি মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র চলতি মাসেই দাখিল করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত সবচেয়ে জটিল তিনটি গোপন বন্দিশিবির উদঘাটন করেছে। এর মধ্যে ‘টিএফআই সেল’ নামে একটি আধা-আন্ডারগ্রাউন্ড কেন্দ্র রয়েছে, যা সুপরিকল্পিতভাবে গোপন করে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এই কেন্দ্রগুলো দেয়াল তুলে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। দেয়ালগুলো তদন্তের সময় ভেঙে ফেলতে হয়।’
তিনি জানান, পুরো এলাকা আবর্জনায় ভরে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীদের নিজ হাতে সেগুলো পরিষ্কার করে অপরাধস্থল উন্মোচন করেছে। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
‘আমরা একটি বন্দিশালায় অজান্তেই ঢুকে পড়লে দেখতে পাই, সেখানে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে—কয়েকটিতে টাইমারও লাগানো ছিল। এটা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তদন্ত পরিচালনাকারীদের হত্যার সুস্পষ্ট চেষ্টা ছিল,’ সাংবাদিকদের বলেন তাজুল।
‘প্রসিকিউশন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করেনি বলে অনেকে মনে করছেন, আসলে কোনো তদন্তই হয়নি। তবে অভিযোগপত্র দাখিলের পর জনগণ বুঝতে পারবে কী পরিমাণ তথ্য আমরা উন্মোচন করেছি,’ যোগ করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/জেএম