চলে এসেছে মধুমাস। আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া, রানি পছন্দসহ আরও কত রকমের আমে বাজার সয়লাব। চাইলেই খেতে পারেন মজাদার এই আমগুলো। আম খাওয়ার উপকারিতাও অনেক। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আম খাওয়ার উপকারিতা। চলুন দেখে নেই।
ক্যানসার প্রতিরোধে আম
আমে আছে নানা রকম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, গ্যালিক অ্যাসিড, মিথাইল গ্যালেট ইত্যাদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো স্তন ক্যানসার থেকে শুরু করে কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসর ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে খেতে পারেন আম।
নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল
ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন থাকায় রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে রসাল আম।
ত্বক সুস্থ রাখে
ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি।
অ্যালকালাইন ভারসাম্য
আমে আছে টারটারিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড। আছে সাইট্রিক অ্যাসিডও। শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে এটি।
ওজন কমায় আম
আমে আছে বিভিন্ন রকম পুষ্টি উপাদান। তাই একটি আম খেলেই সারা দিনের ভিটামিনের চাহিদা মিটে যায়। আবার এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। তাই ওজন কমাতে আম খেতে পারেন।
ভালোবাসার জাগায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, আম খেলে হৃদয়ে ভালোবাসার জন্ম হয়। তাই এটাকে উন্নত বিশ্বে লাভ ফ্রুট বলে। সুতরাং মৌসুম থাকতেই প্রিয়জনকে বেশি বেশি আম উপহার দিন।
চোখের যত্নে
আমে থাকা ভিটামিন আমাদের রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া যারা ড্রাই আই সমস্যায় ভুগছেন, তারা আম খেয়ে উপকার পেতে পারেন।
হজমে সহায়ক
স্বাস্থ্য ধরে রাখতে হজম প্রক্রিয়া সুস্থ থাকা জরুরি। আমে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদান সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও।
হিট স্ট্রোক ঠেকাবে
এই গরমে হিট স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা। আম আমাদের ভেতরটা শীতল রাখে ও শরীরকে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।
রোগ-প্রতিরোধে আম
আমে আছে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যারোটেনয়েড। এটা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
আম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। তাই যারা লেখাপড়া করছেন, তারা বেশি বেশি করে আম খেতে পারেন।
ত্বকের যত্নে আম
বডি স্ক্রাব হিসেবে পাকা আম বেশ ভালো কাজ করে। আমের পেস্ট তৈরি করে তাতে একটুখানি মধু আর দুধ মিশিয়ে নিন। আলতো করে ম্যাসাজ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।