বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে ধারাবাহিকভাবে খেলা ও অনুশীলনের মধ্যে না রাখতে পারলে কমিটিসহ পদত্যাগ করবেন কাজী সালাউদ্দিন। কাতারের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি।
‘আমাদের সমস্যা হলো ধারাবাহিকতা। আমি যখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চার গোলে হারলাম, এরপর আমি যদি অনুশীলন চালু রাখতে পারতাম তাহলে কাল (কাতারের বিপক্ষে) ওই ২ গোলই (প্রথমার্ধে) থাকতো। আমি যখন নেপালকে আনতে চাইলাম, তখন আমার বোর্ড থেকে জানালো যে, টাকা খরচ করা যাবে না; টাকা কই পাবো! আমি আজ ওয়াদা করলাম যেভাবে হোক, ধারাবাহিকতা রাখবো, না হয় আমিসহ আমার পুরো কমিটি পদত্যাগ করবো।’
বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেবার খেলেছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে। ঐ ম্যাচে ৪-০ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এরপর থেকে গতকালের ম্যাচ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ খেলে ৩৫টি। এর মধ্যে জয় ৮টিতে আর ড্র ৫টিতে। বাকি ২২ ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হয়ে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে।
সালাউদ্দিনের ইচ্ছে দলকে টানা খেলা কিংবা অনুশীলনের মধ্যে রাখতে। এর ভেতর থাকলেই তিনি মনে করেন দল সাফল্য নিয়ে আসবে। এ জন্য তিনি যা করা লাগে তি তা-ই করবেন। ‘আমি ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসব। আমাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে হবে। প্লেয়ারদের ট্রেনিং সেশন করব। আমরা ইউরোপ না যে সাত দিনেই টিম তৈরি হয়ে যাবে। আমাদের কিছু সময় লাগবে। এজন্য ক্লাবদের ছাড় দিতে হবে। এসব কিছু করতে পারলে আমি আশা করি আগামী তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো করবে’-বলছেন সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশের সামনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আরও তিনটি ম্যাচ আছে। ভারত, আফগানিস্তান ও ওমানের বিপক্ষে এবার নামবেন জামাল-সুফিলরা। তাদের বিপক্ষে খেলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই নামবে বলে জানান বাফুফে সভাপতি।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমার তিনটা খেলা আছে। তিনটা খেলা খেলতে প্রতিটি খেলার আগে ৪ সপ্তাহ অনুশীলন চাই। দুই সপ্তাহ শারীরিক ও দুই সপ্তাহ ম্যাচ খেলব। তিনটা ম্যাচে আমার ২কোটি করে ৬কোটি লাগবে। আমার এখন টাকা যোগাড় করতে হবে। তাহলে আমি খেলোয়াড়দের চাপ দিয়ে ফল আদায় করতে পারি।’
গতকাল কাতারের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়। সব দিক দিয়েই পিছিয়ে ছিলেন জামাল ভুঁইয়ারা। ম্যাচের ৭০ ভাগেরও বেশি সময় বল ছিল কাতারের দখলে। স্বাগতিকরা শট নিয়েছে ৩২টি। বিপরীতে বাংলাদেশ মাত্র ১টি! তবে এই ম্যাচ দেখেননি সালাউদ্দিন। তার মন্তব্য, বাংলাদেশ খেললে তিনি নিতে পারেন না।
খুলনা গেজেট/এএমআর