খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনার বড় বাজারের পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস
  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আমি এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি : আবুল হায়াত

বিনোদন ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দিন ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার লোকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত।

তিনি বলেন, আমাদের ভবনের একটা ফ্ল্যাটের ছেলে মারা গেছে। তার নাম ফারহান ফাইয়াজ। ওর মা–বাবা এবং আমরা একই ভবনে থাকি। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। সরকার অনেক দেরি করে ফেলেছে। যেটা একদিনে সমাধান করা সম্ভব ছিল, সেটি তারা অনেক সময় নিয়ে করল—কষ্টটা এখানেই লাগে।

আবুল হায়াত বলেন, সেই একই সমাধানে তো এলো তারা, যেটি বলেছিল সম্ভব না, সেটিই তো তারা একদিনের ব্যবধানে করে ফেলল। সুতরাং এটা সেদিনই সম্ভব ছিল, প্রথম দিন না হলে দ্বিতীয় দিনে সম্ভব হতো। এ জন্যই বলি— সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমি আসলে এই কষ্ট প্রকাশ করতে পারব না। আমার চোখ এখনো ছলছল করছে। আমি এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমি খুব মর্মাহত। আমি কেঁদেছি। মৃত্যুর খবরে আমার কান্না থামাতে পারছিলাম না। বাচ্চাগুলোর একটার পর একটা মৃত্যুর খবর আসছিল। আমার কান্না কিছুতেই আটকে রাখতে পারিনি। আবুল হায়াত বলেন, আমি অসুস্থ। এখন বেশিরভাগ সময় বাসায় থাকি, কোথাও বের হই না। আমি তো ভাবতেই পারি না, ছোট ছোট বাচ্চার সঙ্গে এমনটা হতে পারে! আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সামনে দাঁড়ানো কাউকে এভাবে মারবে, এটা কল্পনারও অতীত। অনেক কিছু মনে আসে, লিখিও না, বলিও না—চুপচাপ থাকি। কিন্তু আমাদের সহ্যেরও তো একটা সীমা আছে। মনেরও তো কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা থাকে। বৃহস্পতিবার কি যে কান্না কেঁদেছি, আমার মেয়েরা আমাকে ফোন করে কত সান্ত্বনা দিয়েছে। বলেছে— কেঁদে কী লাভ, কেঁদে কিইবা করবে; কিন্তু তার পরও আমি কেঁদেছি। না কেঁদে থাকতে পারিনি।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!